Thursday, August 18, 2016

শেয়ার মার্কেট এ যে ভুল গুলো একদম করবেন না, সেগুলো জেনে নিন / The mistakes you should never do in stock market

আমি কাউকে মিসগাইড করতে চাই না এবং কিছু বেপার এ প্রথম এই সতর্ক করে দিতে চাই:

1. যদি শেয়ার এ অল্প দিনে খুব বেশি লাভ করে ফেলেন টাও শুধু শেয়ার
এর ভরসায় নিজের ফুল টাইম job বা business ছেড়ে এটা করবেন না

2 . একটা লিমিটেড প্রফিট হলে সময় বুঝে বেরিয়ে আসবেন সেই শেয়ার থেকে,
একেবারেই বেশি লোভ করবেন না যদি সেই শেয়ার এর উপর আপনার খুব ভরসা না থাকে

3. অন্যের টাকা নিয়ে শেয়ার এ লাগাবেন না

4. একটু লস এ চলে গেলেই খুব ভেঙে পড়বেন না বা লস বুক করে নেবেন না, patience  ই   হলো শেয়ার মার্কেট এ লাভ করার একমাত্র কীওয়ার্ড

5. আরেকটা খুব ইম্পরট্যান্ট পয়েন্ট হলো নিজের সেভিংস এর মাত্র 10%-20% ই শেয়ার ই ইনভেস্ট করবেন, নাহলে যদি কোনো ভাবে লস করে ফেলেন খুব বেশি কিছু এসে যাবে না.
6. শেয়ার মার্কেট  এ ইনভেস্ট টা এক টা শক এর মতো রাখবেন এটা কে প্লিজ নেশা বানিয়ে ফেলবেন না

7. সেই company ই গুলোর ই শেয়ার কিনবেন যেটা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন বাজার  এ চলছে, ছোট কোম্পানি তে ইনভেস্ট করে অনেক সময় লাভ বেশি হয় কিনতু একটা বোরো রিস্ক ফ্যাক্টর থেকে যায়

8. শেয়ার মার্কেট এ লাক ট্রাই করতে যাবেন না, লস এর মুখ দেখতে একেবারে সময় লাগবে না, মন কন্ট্রোল এ রেখে মাথা কাজে লাগাবেন, মনে রাখবেন এটা কিনতু সবচেয়ে শক্ত কাজ

শেয়ার মার্কেট এ ইনভেস্ট করার প্রথম ধাপ গুলি কি কি? / What are the first steps of share market?

Click for english version : What are the first steps of share market?

স্টক মার্কেট ইনভেস্ট করার কথা মনে হলেই আমরা ভাবি হয়তো খুব রিস্কি কাজ বা অনেক অনেক টাকার বেপার কিনতু এটা সেরকম কিছুই নয় ,বা হয়তো যারা করবো বলে ভাবি তারা বুঝতে পারি না কথা থেকে এবং কি ভাবে এটা শুরু করবো, এটা খুব প্রাথমিক কিছু স্টেপ আমি নিচে লিখছি .

আরেকটা কথা আপনি যদি 10000-15000 টাকাও বেতন পান,সেটার যা সেভিংস হয় তার নুন্নতম ভাগ দিয়েও আপনি আস্তে আস্তে ইনভেস্ট করা শুরু করতে পারেন.

যদি আপনারা অলরেডি কিছু সেট উপ করে থাকেন বা জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটা স্কিপ করে যেতে পারেন.

1. স্টক মার্কেট ঢোকার জন্যে যেটা প্রথম দরকার সেটা হলো একটা ব্যাঙ্ক একাউন্ট.
2. এবার আপনার যেটা দরকার সেটা হলো একটি demat বা ট্রেডিং একাউন্ট ওপেন করা. আপনার যে ব্যাঙ্ক একাউন্ট আছে তাদের গিয়ে যদি বলেন আপনি ডিমটি একাউন্ট খুলতে চান তাহলে তারাই সেটা করে দিতে পারে
এই ধরণের একাউন্ট খোলার জন্যে চাই
আপনার 2 - 3 কপি পাসপোর্ট
আপনার ভোটার id  কার্ড

এই সব ডকুমেন্ট জমা দিলেই কিছু দিন এর মধ্যে আপনার একাউন্ট তা একটিভ হয়ে যাবে.

আরো পড়ুন : শেয়ার মার্কেট এ যে ভুল গুলো একদম করবেন না, সেগুলো জেনে নিন

3. ব্যাঙ্ক ছাড়াও কিছু ব্রোকারেজ ফার্ম আছে যাদের কাছে আপনি demat  / ট্রেডিং একাউন্ট খুলতে পারবেন
যেমন : Sharekhan , Angel Broking etc
এদের ব্রোকার চার্জ ব্যাঙ্ক এর থেকে একটু কম এবং এরা আপনাকে সময় মতো গাইড করে দেয় (ব্রোকার চার্জ হলো কিছু খুব অল্প কমিশন যেটা আপনার প্রত্যেক ট্রানসাকশান কাটে ,সবার ব্রোকার চার্জ সমান হয় না )
ব্রোকার চার্জ তা আপনি সহজেই দরাদরি করে কমাতে পারেন যার কাছে একাউন্ট খুলছেন. সাধারণত ইটা 10 পয়সা থেকে 60 পয়সা মধ্যে হয় / 100 টাকায়

4. আপনার একাউন্ট টা এক্টিভেট হয়ে গেলেই আপনি আপনার username এবং পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন ,এর সাথে আপনি যে কোম্পানি থেকে একাউন্ট খুললেন তাদের ওয়েবসাইট এর URL  টাও পেয়ে যাবেন ,জেটার সাহায্যে আপনি নিজের একাউন্ট লগইন করতে পারবেন.

5. প্রথম শুরু করার জন্যে আপনি মাত্র 500-1000 টাকা দিয়েই কাজ শুরু করেদিতে পারেন.

ব্যাস, এখন আপনি শেয়ার ট্রেডিং করার জন্যে একেবারে রেডি.

পরের পোস্ট আমি কি ভাবে আপনি শেয়ার ট্রেডিং শুরু করতে পারেন সেটা step  by step  বলবো. গল্পের মতো করে শিখুন এবং শেখান. পোস্ট টি ভালো লাগলে অবশ্যই আমার ব্লগ এর URL টা বুকমার্ক সেভ করুন


 এরপরে পড়ুন  : কত রকম এই ট্রেডিং হয় এবং এটা আপনি কি ভাবে শুরু করবেন? - Part 1